দালালসহ আটক ২৬ রোহিঙ্গা

ভূঁয়া পাসপোট নিয়ে রোহিঙ্গারা পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক :

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্যাম্প প্রশাসনে শক্ত নজরদারির অভাবে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে প্রতিদিন শতশত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু পালিয়ে যাচ্ছে।

ক্যাম্প পালানো এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা বিত্তবান স্বচ্ছল পরিবার তারা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা শহরে গিয়ে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি জামাচ্ছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাতে রাজধানী খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকায় কহিনুর ভিলা নামে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নারী পুরুষ শিশুসহ ২৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে তাদেরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এ সময় পুলিশ আটক কাজল ও আইয়ুব নামে ২ দালালের নিকট থেকে ৫৬টি ভূয়া পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।

কুতুপালং ক্যাম্প থেকে দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে ক্যাম্প ছাড়ছে এবং বিদেশে পাড়ি জমাতে সক্ষম হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান রশিদ আহম্মদ জানান, তার ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে দীর্ঘদিন থেকে।

বিদেশে অবস্থানরত এসব প্রবাসী রোহিঙ্গাদের পাঠানো টাকার বিনিময়ে তারা দালালের আশ্রয় পশ্রয়ে ও অতি গোপনীয়তা রক্ষা করে ক্যাম্প ত্যাগ করে। পরে ভূয়া নাম ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশ পাড়ি জমানোর অন্তহীন চেষ্টা অবহ্যত রাখে।

তিনি বলেন, ভূয়া নাম ঠিকানায় বানানো পাসপোর্ট দিয়ে বিমানযোগে বিদেশ পাড়ি জমাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এ পর্যন্ত ক্যাম্পে ফেরত এসেছে প্রায় দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু।

খিলগাওঁ থানার উপ-কমিশনার মোখলেছুর রহমানের বরাত দিয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের জানান আটক ২৪ জন রোহিঙ্গাকে হস্তান্তরের ব্যাপারে তারা সুনিদিষ্ট তথ্য উপাত্ত চেয়েছে। তাদেরকে ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট সরাসরি হস্তান্তরের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেহেতু এরা পলাতক।

কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ক্যাম্পে এ রকম একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা দালালেল মাধ্যমে রোহিঙ্গা যাত্রীদের ভূঁয়া পাসপোর্ট থেকে শুরু করে বিদেশ পাঠানোর জন্য অতি গোপনীয়তা রক্ষার মাধ্যমে ঢাকায় নিয়ে মাসের পর মাস অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, এসব রোহিঙ্গাদের অনেকে পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে সর্বস্ব হারিয়ে আবার ক্যাম্পে ফেরত আসতে দেখা যাচ্ছে।